Home Know the Martyrs Shahid Masum

Shahid Masum

নামঃ শহীদ সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুম
পিতা : মাহতাব উদ্দিন আহমদ
পিতার পেশা : অবসরপ্রাপ্ত
মাতা : শামছুন নাহার রুবি
মাতার পেশা : শিক্ষিকা (উপাধ্যক্ষ, ব্রাইটফোর ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা)
বয়স : ১৬ বছর
স্থায়ী ঠিকানা : ১৩০/১৬, বাগানবাড়ি, মাদারটেক, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা।
ভাইবোন : দুই ভাই ও তিন বোন
শিক্ষাজীবন : শাহাদাতের সময় তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে ইংরেজি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সাংগঠনিক জীবন : সংগঠনের সাথী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ সভাপতি ছিলেন।
শাহাদাতের তারিখ ও স্থান : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে ১৪ দলের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর ২০০৬ ভোর ৪টায় ইবনে সিনা হাসপাতালে শহীদ হন।
শহীদ : ১৩১তম

সদা হাস্যোজ্জ্বল শহীদ সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে ছিল ৩য়। তার পিতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। মাতা শামসুন্নাহার রুবি। ভয়াল আটাশের সকালে শহীদ মাসুম ও শহীদ শিপন একসাথে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু তারা আর জীবিত ফিরে আসেনি, এসেছে লাশ হয়ে। তারা বাসা থেকে বের হয়ে সরাসরি চলে আসে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে। সেখানেই লগি বৈঠা বাহিনীর ইটের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম।

ভয়াল আটাশের সকালে শহীদ মাসুম ও শহীদ শিপন একসাথে বাড়ি থেকে বের হয়। কেউ কি জানতো তাদের এই বের হওয়াই শেষ বের হওয়া। তারা বাসা থেকে বের হয়ে সরাসরি চলে আসে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে। ইতিমধ্যে ১৪ দলের লগি বৈঠা বাহিনী তাদের তা-ব শুরু করে দেয় জামায়াতে ইসলামীর সভা মঞ্চ দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু মানব ঢাল অতিক্রম করে কিছুতেই এগুতে পারছিল না তারা। বৃষ্টির মতো ইট আর বোমার মুখে সবার সামনে ছিলেন সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম। অসীম সাহসিকতা আর ঈমানী দৃঢ়তায় অটল থাকেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একের পর এক ইট এসে পড়তে থাকে তার উপর। বড় একটি ইট এসে পড়ে তার মাথায়। সাথে সাথে সংজ্ঞা হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। তার পাশেই ছিলেন তার বড় ভাই শামসুল আলম মাহবুব। কী এ মর্মার্ন্তিক দৃশ্য!

৫ দিন সংজ্ঞাহীন থাকার পর ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর ভোর ৪টায় মহান আল্লাহর শাশ্বত আহ্বানে সাড়া দিয়ে শাহাদাতবরণ করেন সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুম। শহীদ মাসুমের লাশ যারা দেখেছেন তারা আর ঠিক থাকতে পারেননি। জীবন্ত মাসুমের চেহারা আর মৃত মাসুমের চেহারার মাঝে তফাত ছিল অনেক। তার সুন্দর, নিষ্পাপ চেহারাটি যেন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছিল। শহীদ মাসুমকে কেউ কোনদিন রাগ কিংবা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেনি।

SHARE